তৃতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের কাছে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর, বাসিত আলী কোনো রাখঢাক না রেখেই পাকিস্তান দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নিউ জিল্যান্ড সফরের তিক্ত পরিণতি এবং বাসিত আলীর ক্ষোভপ্রকাশ

নিউ জিল্যান্ড সফর ভুলে যাওয়ার মতোই হলো পাকিস্তানের জন্য। শেষ ওয়ানডেতে ৪৩ রানে হারের মধ্য দিয়ে সফরের সমাপ্তি ঘটে এডেন পার্কে, যা সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলীকে ক্ষোভে ফেটে পড়তে বাধ্য করে। তিনি দলের পারফরম্যান্স, নেতৃত্ব ও মানসিকতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন।
ভেজা আউটফিল্ডের কারণে ম্যাচটি ৪২ ওভারে সীমিত করা হয়, যেখানে নিউজিল্যান্ড ২৬৪/৮ রান করে। রিস মারিউ (৫৮) ও মাইকেল ব্রেসওয়েল (৫৯) অর্ধশতক করেন এবং ড্যারিল মিচেল ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। পরে বেন সিয়ার্স পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপকে ধসিয়ে দেন ৫/৩৪ পরিসংখ্যান নিয়ে। যদিও পাকিস্তান ভালো শুরু করেছিল, শেষ পর্যন্ত তারা ২২১ রানেই গুটিয়ে যায়।
চেজ শুরুর কিছুক্ষণ পরেই ওপেনার ইমাম-উল-হক মাথায় বল লাগায় মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর বাবর আজম (অর্ধশতক), আবদুল্লাহ শফিক (৩৩) এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩৭) মাঝের ওভারে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও শেষ দিকে দলের পতন ঘটে।
বাসিত আলী তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বলেন,
“আজকের দিনটা পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য কালো দিন। এমনকি যারা খেলা ছেড়ে দিয়েছে, তাদের জন্যও। যখন ওয়াসিম আকরাম আর ওয়াকার ইউনুস বল করত, তখন কিউই ব্যাটাররা পা-ই ফেলতে পারত না। এখন ওরাই কমেন্ট্রি বক্সে বসে আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করছে। পাকিস্তান যখন উসমান খানকে কনকাশন সাবস্টিটিউট হিসেবে পাঠাল, তখন ওরা হাসছিল,” বলেন বাসিত।
তিনি মোহাম্মদ রিজওয়ানের অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
“ইমাম যখন মাঠ ছাড়ল, তখন রিজওয়ান কোথায় ছিল? ওর নেতৃত্ব এতটাই দুর্বল যে, ও জানেই না কোন ওভারে কাকে বল করাতে হবে। এটা যেন স্কুল ক্রিকেট!” — তীব্র কটাক্ষ বাসিতের।
ইমামের উপর বড় দাবি

বাসিত আলী ইমাম-উল-হকের ইনজুরির পর মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন, ইঙ্গিত দেন যে এটি ছিল আত্মরক্ষামূলক একটি পদক্ষেপ।
পাকিস্তানের সফর শেষ হয়েছে ৪-১ ব্যবধানে টি২০ সিরিজে হার এবং ৩-০ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের মাধ্যমে—একটি ফল যা সমর্থক এবং সাবেক খেলোয়াড়দের ভীষণ হতাশ করেছে।