Promotion for football

LSG-এর নীরব তাড়া এক রাত, যেখানে ছোট ছোট বিষয়ে ভেসে উঠেছিল মরিয়া চেষ্টা

ঘরের মাঠে প্রথম জয় ছোট ছোট মুহূর্তেই গড়ে উঠল LSG-এর সাফল্যগাথা

লখনৌ সুপার জায়ান্টস (LSG) চলতি মরসুমে ঘরের মাঠে তাদের প্রথম জয় তুলে নেয় এমন এক ম্যাচ যেখানে বড় কিছু মুহূর্তের পাশাপাশি নজর কাড়ে কিছু অদৃশ্য, ছোট ছোট ঘটনাও। যা হয়তো হাইলাইটসে ধরা পড়ে না, কিন্তু ম্যাচের গতি বদলে দেওয়ায় রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

আকাশ দীপের ঘুরে দাঁড়ানো

আকাশ দীপের তৃতীয় ওভারের আগে তাঁর বোলিং প্রান্ত বদলানো হয়, কারণ আগের ওভারে তিনি দেন ২১ রান। চোট কাটিয়ে ফেরা এই পেসারকে ডাগআউট থেকে একটি বার্তা পৌঁছে দেন সম্ভবত আকাশ সিংহ। এরপর নিকোলাস পুরান এগিয়ে এসে কিছু পরামর্শ দেন। যদিও আকাশ এবারও শর্ট বল করেন, তবে লাইন পরিবর্তন করে অফ স্টাম্পের বাইরে বল করেন, যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনে তাঁর বোলিংয়ে।

ফিল্ডিং সেটআপেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট

নবম ওভারের আগে টাইমআউটের পর দেখা যায় রিশভ পান্ত এবং ডিগ্বেশ রাঠি ফিল্ডিং সাজাতে সময় নিচ্ছেন। তারা মল্লফিল্ডার রাখবেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা করেন। শেষে রাখেননি। আর ঠিক সেই জায়গায় খেলতে গিয়ে নামন ধীর হন বোল্ড।

কৌশলে জোর দিলো LSG টিম ম্যানেজমেন্ট

কৌশলে জোর দিলো LSG টিম ম্যানেজমেন্ট

১২তম ওভারের আগেও দেখা যায় পুরান, পান্ত ও মার্করাম আলোচনায় ব্যস্ত। এর ফলস্বরূপ তারা ৬০ সেকেন্ডের ওভার বিরতির নিয়ম ভেঙে সতর্কবার্তা পান। কিন্তু এতে বোঝা যায়, এই ম্যাচ জিততে কতটা মরিয়া ছিল LSG।

সঞ্জীব গোয়েঙ্কার কাগজ ছুঁয়ে চোখে লাগানোর আবেগ, প্রধান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের মাঠকর্মীদের জড়িয়ে ধরা সব মিলিয়ে স্পষ্ট, এই জয় কেবল পয়েন্টস টেবিলের নয়, আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ারও ছিল।

পুরনো কষ্ট ভুলে, বাস্তব কৌশলে ফিরল দল

পূর্বের হারের পর মাঠে মাটি পরিবর্তন করে লাল মাটির বদলে কালো মাটিতে খেলা হয়। দলে ফেরানো হয় ফিট আকাশ দীপকে। রিশভ পান্ত জানিয়েছেন, “যে পিচই থাকুক, আমরা খেলতে প্রস্তুত।” কোচ ল্যাঙ্গারও বলেন, “পিচ নিয়ে কথা না বললেই ভালো। ভালো ক্রিকেট খেলাটাই আসল।”

পাওয়ারপ্লেতেই মোমেন্টাম ধরে নেয় LSG

চেজিং সহায়ক লখনৌর পিচে আগে ব্যাট করে ২০৩ রান তোলে LSG যা তাদের হোম ভেন্যুতে সর্বোচ্চ। মিচেল মার্শ করেন ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি, আইপিএল ইতিহাসে পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ ৩০ বল খেলেন তিনিই। ডেভিড মিলার ও আয়ুষ বাদোনি শেষদিকে স্কোর বাড়াতে সাহায্য করেন।

বল হাতে কৌশল বদলে এল সাফল্য

হার্দিক পান্ডিয়ার থেকে প্রেরণা নিয়ে আকাশ দীপ ও শার্দুল ঠাকুর ব্যাটারদের শরীর লক্ষ্য করে ব্যাক-অব-লেংথ বল করেন, যা প্রথমে কার্যকর হলেও পরে ডির মতো ব্যাটাররা সেটি সহজেই মোকাবিলা করেন। তবে শেষদিকে শার্দুল তাঁর কৌশল পাল্টে ইয়র্কার করেন, যা কার্যকর প্রমাণিত হয়।

শেষ মুহূর্তে নাটকীয়তা, কিন্তু লখনৌর জয় সুনিশ্চিত

শেষ ওভারে ২১ রানের লক্ষ্য নিয়ে বল হাতে ওঠেন আভেশ খান, সামনে ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া তাঁর প্রিয় শিকার। মাত্র ১৩ রান দরকার থাকলেও ফিল্ড সেট করে নিখুঁত পরিকল্পনায় লখনৌর জয় নিশ্চিত করেন আভেশ।

LSG পুরো ম্যাচ জুড়েই নিজেদের জয়ের জন্য মরিয়া ছিল। টাইমআউটের পরে আলোচনা, ডাগআউট থেকে বার্তা, ফিল্ডিং পজিশনে সূক্ষ্ম পরিবর্তন সব মিলিয়ে ছোট ছোট সিদ্ধান্তগুলোই গড়ে দেয় এই ঐতিহাসিক জয়।

“Join E2Bet for exciting games, big wins, & daily bonuses. Play now and experience nonstop fun!”

Leave a Comment

Scroll to Top