বেথ মুনির দুর্দান্ত ৯৬* রান ও কাশভি গৌতম (৩-১১) এবং তনুজা কানওয়ার (৩-১৭)-এর তিনটি করে উইকেটের বদৌলতে ইউপি ওয়ারিয়র্সকে ৮১ রানে হারাল গুজরাট জায়ান্টস। হারলিন দেওলও ৪৫ রান করে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান। ইউপিডব্লিউ-এর ব্যাটিং ধসে পড়ে যখন ডেয়ান্ড্রা ডটিন দ্রুত দুই উইকেট নেন।
ভালো ব্যাটিং পিচে গুজরাটের ইনিংসের শুরুতে চিনেলে হেনরির সুইং বল সমস্যায় ফেলে ডয়ালন হেমলতাকে, যিনি প্রথম ওভারেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর মুনি ও দেওল ১০১ রানের জুটি গড়ে দলকে শক্ত ভিত দেন।
এই জুটিতে দুজনই সুন্দর কিছু শট খেলেন—স্কয়ার লেগে সুইপ ও কাভারে দুর্দান্ত ড্রাইভ। মুনি তৃতীয় ম্যান অঞ্চলে বল ঠেলে ও স্পিনারদের বিপক্ষে পা ব্যবহার করে রান তোলেন। দেওল দুইটি বাউন্ডারি মারেন অফসাইডে, যার ফলে সপ্তম ওভারেই ৫০ পার করে গুজরাট।
সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও থামলেন মুনি

দেওল আউট হলেও মুনি দমেননি। তরুণ ক্রান্তি গৌড়ের এক ওভারেই তিনটি চার মারেন তিনি। শেষদিকে মুনি সেঞ্চুরির দিকে এগোলেও শেষ চার ওভারে মাত্র পাঁচটি বল খেলার সুযোগ পান এবং ৯৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
জয়ের জন্য ১৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ারপ্লেতেই ব্যাকফুটে চলে যায় ইউপি ওয়ারিয়র্স। প্রথম বলেই কিরণ নভগিরে স্লিপে ক্যাচ দেন। জর্জিয়া ভোলের ডব্লিউপিএল অভিষেক ভালো হয়নি, তিনি ইনসুইং বলে বোল্ড হন। গ্রেস হ্যারিস রিভিউতে বেঁচে গেলেও ইউপিডব্লিউ বড় ধাক্কা খেতে থাকে। বৃন্দা দীনেশ ও দীপ্তি শর্মাও দ্রুত ফিরে যান।
হ্যারিস কিছুটা লড়াই করেন, কিন্তু ৩০ বলে ২৫ রান করেই এলবিডব্লিউ হন। এরপর শ্বেতা সেহরাওয়াতও বিদায় নেন। চিনেলে হেনরি ও উমা চেত্রী ৩৫ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। হেনরি ছক্কা ও চার মেরে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর গৌতম ও কানওয়ার দ্রুত বাকি উইকেট তুলে নিলে ১০৫ রানে অলআউট হয় ইউপিডব্লিউ।
সংক্ষেপে স্কোর:
গুজরাট জায়ান্টস: ১৮৬/৫ (২০ ওভার) – বেথ মুনি ৯৬*, হারলিন দেওল ৪৫; সোফি একলেস্টোন ২-৩৪
ইউপি ওয়ারিয়র্স: ১০৫ (১৭.১ ওভার) – চিনেলে হেনরি ২৮, গ্রেস হ্যারিস ২৫; কাশভি গৌতম ৩-১১, তনুজা কানওয়ার ৩-১৭
ফল: গুজরাট জায়ান্টস ৮১ রানে জিতেছে।