Yash Dayal এক নারী ইয়াশ দায়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। ভারত এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) ফাস্ট বোলার ইয়াশ দায়ালের বিরুদ্ধে ঘাজিয়াবাদের এক নারী শারীরিক ও মানসিক শোষণের অভিযোগ এনেছেন। ওই নারী বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে শোষণ করার কথা বলেছেন।
নারী ১৪ জুন নারী হেল্পলাইন নম্বর ১৮১ এর মাধ্যমে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। হেল্পলাইনে অভিযোগ জানানোর পরও বিষয়টি যথাযথভাবে পুলিশের কাছে পৌঁছায়নি এবং কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অভিযোগকারী ওই নারী এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে না পাওয়ায় এবং যথাযথ সাহায্য না পাওয়ায় আরও উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হন।
অতএব, তিনি উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ নিবারণ পোর্টাল (আইজিআরএস) এর মাধ্যমে তার অভিযোগ দায়ের করেন। আইজিআরএস হল একটি সরকারি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে সাধারণ মানুষ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের কাছে তাদের অভিযোগ পৌঁছে দিতে পারেন, যাতে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
এই পোর্টালের মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করার ফলে, বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে আলোচিত হয় এবং দ্রুত তদন্তের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। নারীর পক্ষ থেকে পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা বা তথ্য জানানো থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাটি নারীদের নিরাপত্তা ও তাদের অভিযোগের যথাযথ অনুসন্ধানের গুরুত্ব পুনরায় সামনে নিয়ে এসেছে।
সামাজিকভাবে এই ধরনের সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন অপরিহার্য। অপরাধী বা অভিযোগে নাম জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে, হেল্পলাইন ও অভিযোগ নিবারণ পোর্টালের কার্যকারিতা বাড়িয়ে, সাধারণ মানুষ যেন নিরাপদ ও সহায়তার আশ্বাস পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
মহিলা Yash Dayal সঙ্গে পাঁচ বছর সম্পর্ক ছিল

Yash Dayal, ওই মহিলা জানিয়েছেন যে সে গত পাঁচ বছর ধরে ক্রিকেটার যশ দায়ালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। তিনি আরও বলেছেন যে ক্রিকেটার তাকে তার পরিবারের সামনে তাদের বৌ হিসেবে পরিচয় করিয়েছিল, যা তাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছিল।
যশ দয়ালের বিরুদ্ধে এক অভিযোগকারী নারী পাঁচ বছর ধরে একটি সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক, আবেগিক এবং শারীরিক শোষণের দিকে গড়িয়েছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, এই সম্পর্ক শুরুতে প্রেমের প্রতিশ্রুতি ও বিবাহের আশ্বাস দিয়ে গড়ে ওঠে। তিনি তার পরিবার ও পরিচিতজনদের কাছে ওই নারীকে বৌ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, যা ওই নারীর মনে সম্পূর্ণ বিশ্বাস জন্মায় এবং তিনি সম্পর্কটিকে গাঁটছড়া বাঁধার মতো ভেবেছিলেন।
তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওই নারী বুঝতে পারেন যে, যশ দয়াল শুধু তার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেননি, বরং মানসিক ও শারীরিকভাবেও তাকে শোষণ করেছেন। Yash Dayal করেছেন, সম্পর্কের সময় তিনি মানসিকভাবে অস্থির হয়ে পড়েন এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও দায়ালের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। অর্থাৎ, দায়াল তার জীবন এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ করতেন, যা একধরনের শোষণ হিসেবেই বিবেচিত হয়।
এছাড়া অভিযোগে আরও উল্লেখ আছে, যশ দয়ালের একই ধরনের সম্পর্ক অন্য নারীদের সঙ্গেও ছিল। এই ব্যাপারে অভিযোগকারী নারী বলছেন, তার কাছে এমন প্রমাণও রয়েছে যা এই দাবিকে সমর্থন করে। তিনি উল্লেখ করেছেন, তার কাছে দায়ালের সঙ্গে করা চ্যাট, স্ক্রিনশট, ভিডিও কল এবং ছবি রয়েছে, যেগুলো ওই সম্পর্কের প্রকৃত চিত্র ফুটিয়ে তোলে।
অভিযোগকারী নারীর ভাষ্য অনুযায়ী, দায়াল সম্পর্ক চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে তাকে মানসিকভাবে ভীতি দেখানো, চাপ সৃষ্টি করা এবং নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছেন। তার কারণে ওই নারী জীবনে মানসিক কষ্ট ও বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েন। আর্থিকভাবে নির্ভরশীল হওয়ার ফলে তার স্বাধীনতাও সীমিত হয়ে পড়ে।
তারপর যখন তিনি বুঝতে পারেন যে, যশ দয়াল একইরকম আচরণ অন্য নারীদের সঙ্গেও করেন, তখন তিনি বিষয়টি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন। অভিযোগে তিনি বলেন, এরকম আচরণ শুধু তাকে নয়, বরং অন্য নারীদেরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এছাড়া অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই নারী যশ দয়ালের সঙ্গেই একটি দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন এবং সম্পর্কের গাঁটছড়া বাঁধার ব্যাপারে তাকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করতেন। Yash Dayal কিন্তু দায়ালের প্রতিশ্রুতিগুলো ছিল কেবল প্রতারণামূলক, যা নারীর জীবনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এই অভিযোগ সামাজিক ও ক্রিকেটাঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এই ঘটনার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন এবং নারীদের প্রতি সহিংসতা ও শোষণের বিরুদ্ধে সচেতনতার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি, বিষয়টি আইনি ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।
বর্তমানে অভিযোগটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্তাধীন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দিক থেকে দায়ালের পক্ষ থেকেও প্রতিক্রিয়া বা বক্তব্য আসার অপেক্ষায় সবাই রয়েছেন। Yash Dayal, এই ঘটনাটি ব্যক্তি ও সমাজের জীবনে সম্পর্কের দায়িত্ব ও সম্মানের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে।